সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)সংবাদদাতা: মোংলায় হত্যা প্ররোচনার মামলায় দুইজনকে আটক করেছেন পুলিশ। আটককৃতদেরকে বুধবার দুপুরে বাগেরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহারে জানা যায়, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের দিগরাজ ঘাটকুল বাড়ীর নমিতা রায়ের ছেলে ভীষ্মদেব রায় (৩৮) ১৬বছর আগে বিয়ে করেন পাশ্ববর্তী খুলনার দাকোপ উপজেলার কামনিবাসিয়া এলাকার প্রশান্ত মন্ডলের মেয়ে পুষ্পিতা রায় (৩২)কে। তাদের সংসারে ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছেন। সাংসারিক জীবনের গত ২/৩বছর ধরে ভীষ্মদেবের স্ত্রী পুষ্পিতা একই এলাকার অমলেন্দু হালদারের (৫০) সাথে পরকীয়ার প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এ পরকীয়ার প্রেম গড়া স্থানীয়ভাবে একাধিকবারের শালিশ বৈঠকেও। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীর পরকীয়ার প্রেমিক অমলেন্দু ভীষ্মদেবকে বিভিন্ন সময়ে হুমকিধামকি ও ভয়ভীতি দিয়ে আসছিলেন। এনিয়ে ভীষ্মদেবের স্ত্রী ও স্ত্রীর পরকীয়ার প্রেমিকের মধ্যে অশান্তি এবং বিরোধ চলে আসছিলো। পরকীরার বিরোধের জের ধরে গত ৩আগস্ট রাতে ভীষ্মদেবের নিজ ঘরে তার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। স্ত্রীর পরকীয়ায় বলি হওয়া ভীষ্মদেবের মা নমিতা রায় মঙ্গলবার বিকেলে থানায় পুত্রবধু পুষ্পিতা ও পুষ্পিতার পরকীয়ার প্রেমিক অমলেন্দুর বিরুদ্ধে হত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মঙ্গলবার রাতেই দিগরাজের পৃথক জায়গা থেকে হত্যার প্ররোচনার মামলার আসামী পুষ্পিতা ও তার পরকীয়ার প্রেমিক অমলেন্দুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গ্রেফতারকৃতদেরকে বুধবার দুপুরে বাগেরহাট জেলহাজতে পাঠিয়েছেন পুলিশ। মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, ছেলেকে (ভীষ্মদেব) হত্যার প্ররোচনায় মায়ের (নমিতা) দায়েরকৃত মামলায় ছেলের বউ পুষ্পিতা ও বউয়ের প্রেমিক অমলেন্দুকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মুলত হত্যার প্ররোচনার মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।